মাদারীপুরের শিবচরে নির্মাণাধীন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি হাইটেক পার্ক পরিদর্শনে এসে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী জানান পট পরিবর্তনের ফলে যেই সরকার আসুক না কেন জনগণের কল্যাণের জন্য যে প্রকল্পগুলো সেগুলো ধারাবাহিকভাবে চলমান থাকবে এটাই আশা করা যায়।
আমরা এই প্রকল্পসহ আমাদের ২১টি প্রকল্প আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পরে আইসিটি ডিভিশনকে নির্দেশনা দিয়েছিলো এ প্রকল্পগুলো ভিজিট করার জন্য। অর্থাৎ এখানে কি পরিমাণ অর্থ এখান থেকে সাশ্রয় করা সম্ভব। বিভিন্ন গণমাধ্যমকে আমরা এ কথা বলেছি কমিটি আমাদের একটা রিপোর্ট দিয়েছে সে রিপোর্ট এত টাকা সাশ্রয় সম্ভব বলেছে কিন্তু সরজমিনে আবার একটু দেখতে চাই।
আজকে এই এলাকায় এসে দেখলাম যে এখানে কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই। তাই হাইটেক পার্ক এরকম একটা প্রতিষ্ঠান থাকাটা আমি মনে করি জরুরি। তবে এই জায়গাটার মধ্যে আমাদের বাড়তি বিবেচনা আছে। আমরা স্রোতের এক দিকেই আছি।
এখানে থেকে এ প্রকল্প বাদ হওয়ার সম্ভাবনা নাই। এ প্রকল্পের সব স্ট্রেচার ঠিক থাকবে কিন্তু এই জায়গায় যে কোর্স কারিকুলামগুলো আছে সেগুলো আরেকটু ইউজার ফ্রেন্ড করা যায় কি না যাতে এ অঞ্চলের মানুষ সেটার উপকারে আসে অর্থাৎ এ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা নিতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এখান থেকে এ প্রকল্প সরানোর কোন চিন্তা ভাবনা বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের নাই। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতা যেভাবে পেয়েছি এভাবে সমানে পাব। শিবচরে এ প্রকল্প হবে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকরা এ কথা বলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন না হলে আগামীতে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন মানববন্ধনে অংশ নেয়া বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, কর্মসংস্থানের অপার সম্ভাবনাকে সামনে রেখে ২০২১ সালে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি এন্ড হাইটেক পার্ক নির্মাণে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় কুতুবপুর ইউনিয়নের এক্সপ্রেসওয়ের সংলগ্ন ৭০.৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
পরবর্তীতে ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের পর কোন এক অদৃশ্য কারণে প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস ও আর্থসামাজিক সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে শিবচরবাসীর এই হাইটেক পার্ক খুবই প্রয়োজন।
টিএইচ